বিদ্যুৎ কেবলের গুনগত পরীক্ষা এবং কেবল পরীক্ষা করা হয় যাতে কেবলের গুনমান এবং পারফরম্যান্স নির্দিষ্ট আবশ্যকতাগুলো মেনে চলে, ফলস্বরূপ বিদ্যুৎ সিস্টেমের নিরাপদ এবং স্থিতিশীল পরিচালনা নিশ্চিত করা হয়। নিম্নলিখিত কিছু সাধারণ বিদ্যুৎ কেবলের গুনগত পরীক্ষা এবং কেবল পরীক্ষার বিষয়বস্তু:
দৃষ্টিগোচর পরীক্ষা: কেবলের পৃষ্ঠে ক্ষতি, বিকৃতি, বা দাগ ইত্যাদি পদার্থিক দোষ পরীক্ষা করা হয় যাতে কেবলের বাইরের অংশ সম্পূর্ণ থাকে।
মাত্রাগত পরিমাপ: বহির্ব্যাস, অভ্যন্তরীণ ব্যাস, পরিবাহীর ব্যাস, এবং বিদ্যুৎ প্রতিরোধ প্রস্থ ইত্যাদি মাত্রাগত প্যারামিটার পরিমাপ করা হয় যাতে তারা মানদণ্ডের আবশ্যকতা মেনে চলে।
তাপমাত্রা এবং ঠাণ্ডা শক পরীক্ষা: কেবলটিকে উচ্চ এবং নিম্ন তাপমাত্রার পরিবেশে প্রকাশ করা হয় যাতে তার তাপমাত্রিক স্থিতিশীলতা এবং ঠাণ্ডা দৃঢ়তা মূল্যায়ন করা যায়।
নামমাত্র অনুভূমিক ক্ষেত্রের যাচাই: কেবল স্ট্রিপার বা অনুভূমিক ক্ষেত্র পরিমাপ যন্ত্র ব্যবহার করে কেবলের প্রকৃত অনুভূমিক ক্ষেত্র পরিমাপ করা হয়, যাতে তা আবশ্যিক নামমাত্র মানের সাথে মিলে যায়।
প্রতিরোধ পরীক্ষা: প্রতিরোধ পরীক্ষক ব্যবহার করে কেবলের প্রতিরোধ মান পরিমাপ করা হয় যাতে ভাল পরিবাহী সংযোগ নিশ্চিত করা যায় এবং প্রতিরোধ মান মানদণ্ডের আবশ্যকতা মেনে চলে।
ডাইইলেকট্রিক লস ফ্যাক্টর এবং ক্ষমতা পরীক্ষা: ডাই কারেন্ট পদ্ধতি বা ডাইইলেকট্রিক লস পরীক্ষক ব্যবহার করে কেবলের ডাইইলেকট্রিক লস ফ্যাক্টর এবং ক্ষমতা পরিমাপ করা হয়, যাতে বিদ্যুৎ প্রতিরোধ উপাদানের গুনগত মূল্যায়ন করা যায়।
বিদ্যুৎ প্রতিরোধ পরীক্ষা: বিদ্যুৎ প্রতিরোধ পরীক্ষক ব্যবহার করে কেবলের বিদ্যুৎ প্রতিরোধ পরিমাপ করা হয়, যাতে বিদ্যুৎ প্রতিরোধ পারফরম্যান্স গ্রহণযোগ্য কিনা মূল্যায়ন করা যায় এবং বিদ্যুৎ প্রতিরোধ ক্ষতি বা জল প্রবেশের মতো সমস্যা চিহ্নিত করা যায়।

উচ্চ-ভোল্টেজ সহ্যশক্তি পরীক্ষা: কেবলে নির্দিষ্ট ভোল্টেজ প্রয়োগ করা হয় যাতে তার বিদ্যুৎ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং ডাইইলেকট্রিক শক্তি যাচাই করা যায়।
শিল্ডিং কার্যকারিতা পরীক্ষা: উচ্চ-কম্পাঙ্ক বা ডি.সি. পদ্ধতি ব্যবহার করে কেবলের শিল্ডিং কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয় এবং তার ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ইন্টারফেরেন্স (EMI) প্রতিরোধ মূল্যায়ন করা হয়।
বেঁকে যাওয়া ব্যাসার্ধ পরীক্ষা: কেবলের উপর বেঁকে যাওয়া ব্যাসার্ধ পরীক্ষা পরিচালনা করা হয় যাতে তার সুলভতা এবং বেঁকে যাওয়া পারফরম্যান্স মানদণ্ড মেনে চলে।
টেনশন শক্তি পরীক্ষা: কেবলের উপর টেনশন পরীক্ষা পরিচালনা করা হয় যাতে তার টানের শক্তি মূল্যায়ন করা যায়।
কেবল যোগস্থল পরীক্ষা: কেবল যোগস্থলে সংযোগ প্রতিরোধ পরিমাপ করা হয় যাতে সংযোগ নিরাপদ এবং বিশ্বস্ত হয়, যাতে দুর্বল সংযোগ বা অতিরিক্ত সংযোগ প্রতিরোধের মতো সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়।

গ্রাউন্ডিং পরীক্ষা: কেবল সার্কিট এবং সম্পর্কিত সরঞ্জামের গ্রাউন্ডিং প্রতিরোধ পরিমাপ করা হয়। সঠিক গ্রাউন্ডিং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং বিদ্যুৎ প্রতিরোধ ভঙ্গের ঝুঁকি কমায়।
ীকেজ কারেন্ট পরীক্ষা: লীকেজ কারেন্ট মিটার ব্যবহার করে কেবল সার্কিটে লীকেজ কারেন্ট পরিমাপ করা হয়, যাতে বিদ্যুৎ প্রতিরোধ ব্যর্থতা বা লীকেজের মতো সম্ভাব্য সমস্যা চিহ্নিত করা যায়।
কেবল লোড পরীক্ষা: কেবল সার্কিটে লোড পরীক্ষা পরিচালনা করা হয় যাতে সুষম লোডিং নিশ্চিত করা যায় এবং অতিরিক্ত লোড এবং অতিরিক্ত তাপ প্রতিরোধ করা যায়।
বাধা অপসারণ পরীক্ষা: পরিবেশে সম্ভাব্য বাধা, যেমন ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড বা তরঙ্গ, পরিমাপ করা হয়, কেবলে সিগন্যাল পরিবর্তন পরিমাপ করা হয় এবং বাইরের বাধার উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়।
বিদ্যুৎ প্রতিরোধ উপাদান পরীক্ষা: কেবলের মধ্যে বিদ্যুৎ প্রতিরোধ উপাদান পরীক্ষা করা হয় যাতে তার পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করা যায় এবং বয়স্কতা, বিকৃতি, বা বিদ্যুৎ প্রতিরোধ গুনগত কমার সম্ভাব্য সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়।
উপরের বিষয়গুলো হল বিদ্যুৎ কেবলের গুনগত পরীক্ষা এবং পরীক্ষার সাধারণ বিষয়বস্তু। এই পরীক্ষাগুলো পরিচালনা করা হলে কেবলের গুনগত এবং পারফরম্যান্স সম্পর্কিত মান ও নিয়মাবলী মেনে চলছে কিনা তা মূল্যায়ন করা যায়, ফলস্বরূপ বিদ্যুৎ সিস্টেমে কেবলের নিরাপদ পরিচালনা নিশ্চিত করা যায়।