পরমাণু কি?
পরমাণুর সংজ্ঞা
পরমাণুকে এমন ক্ষুদ্রতম বস্তু হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয় যা একটি মৌলের বৈশিষ্ট্যগুলি ধারণ করে।
নিউক্লিয়াসের গঠন
নিউক্লিয়াসে প্রোটন এবং নিউট্রন থাকে এবং এটি একটি পরমাণুর অধিকাংশ ভর গুরুত্বপূর্ণভাবে সংকেন্দ্রিত হয়।
প্রোটন
প্রোটন ইতিবাচক আধানযুক্ত কণা। প্রতিটি প্রোটনের আধান ১.৬ × ১০-১৯ কুলম। পরমাণুর নিউক্লিয়াসে প্রোটনের সংখ্যা পরমাণুর পারমাণবিক সংখ্যা নির্দেশ করে।
নিউট্রন
নিউট্রনের কোন তড়িৎ আধান নেই। অর্থাৎ, নিউট্রন তড়িৎ নিরপেক্ষ কণা। প্রতিটি নিউট্রনের ভর প্রোটনের ভরের সমান।
ইতিবাচক আধানযুক্ত প্রোটনের উপস্থিতির কারণে নিউক্লিয়াস ইতিবাচক আধানযুক্ত হয়। যেকোন পদার্থে, পরমাণুর ওজন এবং বিকিরণমূলক বৈশিষ্ট্যগুলি নিউক্লিয়াসের সাথে সম্পর্কিত।
ইলেকট্রন
ইলেকট্রন হল পরমাণুতে উপস্থিত নেতিবাচক আধানযুক্ত কণা। প্রতিটি ইলেকট্রনের আধান -১.৬ × ১০ – ১৯ কুলম। এই ইলেকট্রনগুলি নিউক্লিয়াসকে ঘিরে থাকে।

ইলেকট্রনের গতিবিধি
ইলেকট্রন শক্তির স্তরে নিউক্লিয়াসকে ঘিরে পরিক্রমণ করে, যার বিন্যাস পরমাণুর রাসায়নিক বৈশিষ্ট্যগুলি প্রভাবিত করে।
কোয়ান্টাম তত্ত্ব
আধুনিক পরমাণু তত্ত্ব কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞান ব্যবহার করে পরমাণু ব্যাখ্যা করে, যা ইলেকট্রনকে কণা এবং সম্ভাব্য তরঙ্গ হিসেবে বর্ণনা করে।
বাহ্যিক ইলেকট্রন
বাহ্যিক স্তরের ইলেকট্রনগুলি পরমাণুর প্রতিক্রিয়াশীলতা নির্ধারণ করে এবং রাসায়নিক বন্ধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।