ফ্লেমিংয়ের বামহাতের নিয়ম হল তড়িৎচৌম্বকত্বের একটি নীতি যা পরিবাহীতে বিদ্যুৎ প্রবাহের দিক, পরিবাহীর চারপাশের চৌম্বক ক্ষেত্রের দিক এবং পরিবাহীর উপর প্রযুক্ত বলের দিকের সম্পর্ক বর্ণনা করে। এটি ফ্লেমিংয়ের ডানহাতের নিয়মের মতো, কিন্তু এটি একটি স্থির পরিবাহীর বদলে চৌম্বক ক্ষেত্রের মধ্য দিয়ে গতিশীল পরিবাহীর উপর বলের দিক পূর্বাভাস করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
ফ্লেমিংয়ের বামহাতের নিয়ম ব্যবহার করতে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন:
আপনার বাম হাত বাইরে ধরুন এবং বড় আঙুল, প্রথম আঙুল এবং মাঝের আঙুল বাড়িয়ে রাখুন।
বড় আঙুলটি পরিবাহীর উপর প্রযুক্ত বলের দিকে দিন।
প্রথম আঙুলটি পরিবাহীর চারপাশের চৌম্বক ক্ষেত্রের দিকে দিন।
মাঝের আঙুলটি পরিবাহীর মধ্যে প্রবাহের দিকে বাঁকান।
মাঝের আঙুলটি যে দিকে বাঁকানো হয় তা পরিবাহীর মধ্যে প্রবাহের দিক নির্দেশ করে।
বল = পরিবাহীর চারপাশের চৌম্বক প্রবাহের ঘনত্ব x পরিবাহীর মধ্যে প্রবাহ x দৈর্ঘ্য
F = B x I x L
ফ্লেমিংয়ের বামহাতের নিয়মের আরেকটি নাম হল মোটর নিয়ম।
ফ্লেমিংয়ের বামহাতের নিয়ম প্রায়ই চৌম্বক ক্ষেত্রের মধ্য দিয়ে গতিশীল পরিবাহীর উপর বলের দিক পূর্বাভাস করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি মোটর এবং জেনারেটরের আচরণ বোঝার জন্য বিশেষভাবে উপযোগী, যা প্রবাহ এবং চৌম্বক ক্ষেত্রের মধ্যে প্রভাবের উপর নির্ভর করে গতি বা বৈদ্যুতিক শক্তি উৎপাদন করে।
বামহাতের নিয়মটি ব্রিটিশ বিজ্ঞানী জন অ্যাম্ব্রোজ ফ্লেমিংয়ের নামে নামকরণ করা হয়েছে, যিনি ১৯ শতকের শেষের দিকে এটি প্রস্তাব করেছিলেন। এটি বিভিন্ন অবস্থায় প্রবাহ এবং চৌম্বক ক্ষেত্রের আচরণ পূর্বাভাস করার জন্য ব্যবহৃত কয়েকটি সদৃশ নিয়মের একটি।
Statement: Respect the original, good articles worth sharing, if there is infringement please contact delete.